Skip to main content
 

মাননীয় জেলা ও দায়রা জজ, মুন্সীগঞ্জ

 

pukur

 

পঞ্চায়েতী বিচার ব্যবস্থা থেকে মুন্সেফ কোর্টঃ

ঢাকায় মোগল শাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই তৎকালীন বিক্রমপুর বর্তমান মুন্সীগঞ্জে ফৌজদার আদালত সৃষ্টি হয়। বিক্রমপুরে এই ফৌজদার আদালত সৃষ্টির পূর্বে অত্র অঞ্চলের বহু মামলা মোকদ্দমা পঞ্চায়েতী প্রথানুসারেই নিষ্পন্ন হত। গ্রাম্য নেতৃবৃন্দ যা মীমাংসা করে দিত তাই সকলে নত মস্তকে গ্রহণ করত। ১৮৪৫ খ্রিস্টাব্দে ডিসেম্বর মাসে সর্ব প্রথম বিক্রপুরস্থ মুন্সীগঞ্জ গ্রামে মহকুমা স্থাপিত হয়। তখন সেখানে জন ফ্রেন্স (Jhon French) নামক একজন ইংরেজ মহকুমার ভারপ্রাপ্ত বিচারক নিযুক্ত হন। এর কিছুদিন পরে অত্র অঞ্চলের গোড়া গাছা গ্রামে একটি মুন্সেফী বিচারালয় প্রতিষ্ঠিত হন। গোবিন্দ চন্দ্র বসু মহাশয় সেখানকার প্রথম মুন্সেফ নিযুক্ত হয়। ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দের ১৪ ই মার্চ এই মুন্সেফ আদালত পুনরায় ঢাকায় স্থানান্তরিত হয়। যা আবার ঢাকা হতে ১৮৫৭ খ্রিষ্টাব্দে স্থানান্তরিত হয়ে অত্র অঞ্চলে আসে এবং নিত্যানন্দ গাঙ্গুলি এখানে সর্বপ্রথম মুন্সেফ নিযুক্ত হন।

 মুন্সেফ কোর্টের পাশাপাশি ছোট আদালত (Small Causes Court) এর সৃষ্টিঃ

১৮৬৬ খ্রিস্টাব্দে বহর গ্রামে ছোট আদালত (Small Causes Court) প্রতিষ্ঠিত হয় এবং অজয় কুমার দত্তগুপ্ত ছিলেন উক্ত (Small Causes Court) এর সর্ব প্রথম বিচারক।

মুন্সেফ কোর্ট ও স্মল কজেস কোর্টের মাধম্যেই বর্তমান বিচার ব্যবস্থার প্রবর্তনঃ

অত্র অঞ্চলের ফৌজদারী ও দেওয়ানী মামলা মোকদ্দমা বৃদ্ধির সাথে সাথে মুন্সেফ কোর্টের সংখ্যা বাড়তে থাকে।

১৯৮৩ সালে সর্ব প্রথম ঢাকা জেলার মহকুমা হিসেবে মুন্সীগঞ্জ জেলায় সহকারী জজ পদ সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে ১৯৮৪ সালে মুন্সীগঞ্জ জেলা সৃজনের সাথে সাথে এখানে জেলা জজ পদ সৃষ্টি করা হয়।

জনাব এম.এ আহাদ চৌধুরী ০১/০৯/১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দে সর্ব প্রথম বর্তমান বিচারব্যবস্থার প্রথম কান্ডারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। বর্তমান আদালত ভবনটি বিগত ২৬শে মে, ১৯৯৩ খ্রিষ্টাব্দ তারিখ উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী জনাব মীর্জা গোলাম হাফিজ। পুরনো তিনটি ভবন বর্তমান আদালতের উত্তর পাশে অবস্থিত যা বর্তমানে পৌরসভার কার্যালয়, সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের কার্যালয় অপরটি পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে।

 

চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতঃ

২০০৭ সালের ১লা নভেম্বর বিচর বিভাগ পৃথকীকরণের মাধ্যমে অত্র জেলায় চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পদচারণা শুরু হয়। জনাব মোঃ মোতাহির আলী সর্বপ্রথম অত্র আদালতে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা হিসেবে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর দায়িত্ব পালন করেছেন। গত ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ খ্রিস্টাব্দ বর্তমানে সুউচ্চ ৮ তলা আধুনিক সুবিধা বিশিষ্ট চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন উদ্বোধন হয়েছে যা অত্র জেলার মধ্যে অন্যতম দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা হিসেবে দন্ডায়মান।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালঃ

অত্র জেলায় সর্ব প্রথম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠিত হয় ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে। জনাব মোঃ ফজলুল হক অত্র আদালতে ২৭/০৩/২০১৪ খ্রিষ্টাব্দ তারিখে সর্বপ্রথম জেলা জজ হিসেবে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন।

জেলা আইনজীবী সমিতিঃ

কোর্টের সাথে সাথে এই অঞ্চলের বিচার ব্যবস্থায় আইনজীবী ও মোক্তার গণ সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে থাকায় আইনজীবী ও মোক্তাদের সংগঠন গড়ে ওঠে। আইজীবীদের এই কার্যে লাইব্রেরী যাহা জেলা প্লিডার এসোসিয়েশন নাম বর্তমানে ১নং মার্কেট হসেবে এবং একাটি মুক্তার লাইব্রেরী হিসেবে বর্তমানে ২নং মার্কেট হিসেবে পরিচিত। ১৯৮৪ সালে মুন্সীগঞ্জ জেলা আইজীবী সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়।

 

নাজমিন আক্তার

বিজ্ঞঃ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রে, মুন্সীগঞ্জ।

 

মোঃ তরিকুল ইসলাম

বিজ্ঞঃ সহকারী জজ, মুন্সীগঞ্জ

 

মানিক দাস

বিজ্ঞঃ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, মুন্সীগঞ্জ

 

মোঃ মনিরুজ্জামান সিকদার

বিজ্ঞঃ সিনিয়র সহকারী জজ, মুন্সীগঞ্জ